প্রধান শিক্ষকের বাণী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের সন্নিকটে বর্ধিষ্ণু পল্লী অঞ্চলের শিক্ষা সম্প্রসারনের এক অনন্য বিদ্যাপিঠ হিসেবে অত্র নয়ানশুকা আর.কে.উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ খ্রীষ্টাব্দে স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী, সমাজসেবী এবং দানশীল ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করে। মরহুম তমিজ উদ্দীন আহম্মদের যোগ্য নেতৃত্বে এবং মরহুম আলতাফ হোসেন,মরহুম আব্দুস সাত্তার, মরহুম দেরাসতুল্লাহ এবং মরহুম গোলাম মর্তুজা আলীর ঘর্মঝরা প্রচেষ্টার ফলে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্নে অনেক প্রতিকুলতা পেরিয়ে এটি প্রথমে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ণাঙ্গ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে ৩৬১ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়ন করতেছে। ১৯৮৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগ খোলার সময় বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় দুই কক্ষ বিশিষ্ট বিজ্ঞানাগার নির্মিত হয়। এছাড়া ২০০৪ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি দ্বিতল একাডেমিক ভবন নির্মিত হয়। ২০১৪ সালে আজীবন দাতা সদস্য এবং ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সভাপতি জনাব, ডাঃ মোঃ আবুল হাসান সাহেব সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ২৫,০০,০০০/-(পঁচিশ লক্ষ) টাকা ব্যয়ে পাঁচটি কক্ষ নির্মাণ করে দিয়েছেন। সে সুবাদে বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছয়টি শ্রেণি কক্ষ, একটি মালটিমিডিয়া ক্লাসরুম একটি শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব, একটি বিজ্ঞানাগার, একটি পাঠাগার, একটি প্রধান শিক্ষক কক্ষ এবং একটি শিক্ষক-শিক্ষিকার সাধারণ কক্ষ সহ মোট বারটি কক্ষ রয়েছে। মনোরম পরিবেশে পাঠাগারটি সুসজ্জিত যেখানে পর্যাপ্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরীর বই রয়েছে যা শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ নিয়মিত অধ্যায়ন করে। ২০১৬ সালে মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ ওদুদ বিশ্বাসের প্রচেষ্টায় সুসজ্জিত শেখ রাসেল ডিজিটার ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। যা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ নিয়মিত ব্যবহার করছে এবং মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনা হচ্ছে।
সম্মানিত সভাপতি জনাব ডাঃ মোঃ আবুল হাসান সাহেব অত্র এলাকার গরীব ছেল-মেয়ে যারা অর্থাভাবে সুপ্ত মেধা বিকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত তাদের সুপ্ত মেধা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২৫/০৯/২০১১ খ্রিঃ তারিখে ২,০০,০০০/-(দু’লক্ষ)টাকার এফডিআর এর মাধ্যমে তাঁর মরহুম পিতার নামানুসারে ‘তমিজউদ্দীন আহাম্মদ কল্যান ট্রাস্ট’ নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করেছেন। ট্রাস্টের মূলধন বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি প্রতি বছর দান করে আসছেন,যার ফলে ট্রাস্টের মূলধন এখন ১০,২৫,০০০/-(দশ লক্ষ পঁচিশ হাজার)। ট্রাস্টের লভ্যাংস থেকে প্রতি বছর গরীব, মেধাবী, প্রতিবন্ধি ও এতিম শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষক ও কর্মচারি এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নিজস্ব অর্থায়নে একটি সুদৃশ্য মসজিদ নির্মান করে দিয়েছেন।